ধারা-৫ঃ
দন্ডবিধির অধীনে অপরাধের বিচারঃ দন্ডবিধিতে বর্ণিত সকল অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও অন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন ফৌজদারী কার্যবিধি মোতাবেক হইবে।
ধারা-৬ঃ
ফৌজদারী আদালতের শ্রেণী বিভাগঃ আদালত দুই প্রকার
ক। দায়রা আদালত;
খ। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।
ম্যাজিষ্ট্রেট দুই প্রকার
০১। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট;
০২। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট।
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চার প্রকার-.
০১। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট/চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট;
০২। ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট;
০৩। ২য় শ্রেণীর ম্যজিষ্ট্রেট;
০৪। ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট।
ধারা-৯ঃ
দায়রা আদালতঃ সরকার প্রত্যেকটি দায়রা বিভাগের জন্য একটি দায়রা আদালত স্থাপন করবেন। উক্ত দায়রা আদালতের প্রধান থাকবেন একজন জজ। সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্ত মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যগণ দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং যুগ্ম দায়রা জজ হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
ধারা-১০ঃ
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটঃ প্রত্যেক জেলায় এবং প্রত্যেক মহানগরী এলাকায় সরকার যে সংখ্যাক উপযুক্ত মনে করে সেই সংখ্যাক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করবেন এবং তাদের একজনকে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করবেন। সরকার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন)-এ নিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করতে পারবেন।
ধারা-১১ঃ
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটঃ সংবিধান অথবা ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্ত এর অধীনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রাণীত বিধি অনুসারে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এর নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হতে মহানগরীর বাইরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মহানগরীর জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দিবেন।
ধারা-১২ঃ
সহকারী পুলিশ সুপার হতে উপরস্থ কোন পুলিশ অফিসারকে শান্তি রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির করার জন্য, গ্রেফতার ও আটক করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে।
ধারা-১২(২) পুলিশের যে অফিসারগণের উপর এ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর দায়িত্ব দেয়া হয় উক্ত অফিসারকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলা হয়।
ধারা-২২ঃ
মফস্বলের জন্য জাস্টিসেস অব দি পিসঃ সরকারী সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের দ্বারা বাংলাদেশের বাসিন্দা এরূপ ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত স্থানীয় এলাকার মধ্যে বা এলাকার জন্য জাস্টিসেস অব দি পিস হিসেবে নিয়োগ করিতে পারবেন।
ধারা-২৫ঃ
পদাধিকার বলে জাস্টিসেস অব দি পিসঃ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ পদাধিকার বলে সমগ্র বাংলাদেশের জাস্টিসেস অব দি পিস এবং দায়রা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটগণ পদাধিকার বলে নিজ নিজ এলাকার জন্য জাস্টিসেস অব দি পিস থাকিবেন।