ধারা-৩১ঃ হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা জজ যে সকল দন্ড দিতে পারেন।
ধারা-৩১(১) ঃ হাইকোট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যে কোন দন্ড দিতে ক্ষমতাবান।
ধারা-৩১(২) ঃ দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত দায়রা জজ মৃত্যুদন্ড ব্যতিত অন্য যে কোন দন্ড প্রদান করতে ক্ষমতাবান তবে মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে হাইকোর্ট হতে অনুমোদন নিতে হবে।
ধারা-৩১(৩) ঃ যুগ্ম দায়রা জজ মৃত্যুদন্ড অথবা দশ বছরের অধিক কারাদন্ড ব্যতিত অন্য যে কোন দন্ড প্রদান করতে ক্ষমতাবান।
ধারা-৩২ঃ ম্যাজিষ্ট্রেটগণ যে সকল দন্ড দিতে পারেন।
ধারা-৩২(১) (ক)ঃ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ বছর কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিতে পারেন। ধারা-৩২(১) (খ)ঃ দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ৩ বছর কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিতে পারেন। ধারা-৩২(১) (গ)ঃ তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ২ বছর কারাদন্ড এবং ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিতে পারেন।
ধারা-৩৫ঃ একই মামলায় ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে দন্ডিত হলে যে সকল শাস্তি প্রদান করা যায়
ধারা-৩৫(১)ঃ ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে ভিন্ন ভিন্ন সাজা হবে।
ধারা-৩৫(২)ঃ ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে ভিন্ন ভিন্ন সাজা হলেও একত্রে ১৪ বছরের অধিক সাজা দেয়া যাবে না। ধারা-৩৫কঃ দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি জেল হাজতে থাকলে সে ক্ষেত্রে কারাবাসের সময় বাদ যাবে ধারা-৩৫ক(১)ঃ মৃত্যুদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে অপরাধী ছাড়া যখন কোন আদালত আসামীকে কারাদন্ডের
আদেশ দেয় সেক্ষেত্রে যদি আসামী ইতোমধ্যে জেল হাজতে আটক থাকেন তাহলে কারাদন্ডের সময়কাল থেকে আটকের সময়কাল বাদ যাবে।
ধারা-৩৫ক(২)ঃ মৃত্যুদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে অপরাধী ছাড়া যখন কোন আদালত আসামীকে যে মেয়াদের জন্য কারাদন্ডের আদেশ দেয় সেক্ষেত্রে যদি আসামী ইতোমধ্যে জেল হাজতে আটক থাকেন এবং আর আটক রাখা প্রয়োজন না হলে তাৎক্ষনিক ভাবে অবম্ক্তু হবে।