ধারা-৯৪; দলিল অথবা অন্যান্য জিনিস হাজির করিবার সমন
ধারা-৯৪(১); যখন কোন আদালত/থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিবেচনা করবেন যে, তদন্ত অনুসন্ধান এর প্রয়োজনে কোন দলিল বা জিনিস হাজির করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে উক্ত বস্তু/দলিল যার নিকট রক্ষিত তাকে উক্ত দলিল বা বস্তু হাজির করতে নির্দেশ দিতে পারবেন। তবে কোন অবস্থাতেই ব্যাংকের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল বা অন্য কোন বস্তু আদালত/হাইকোর্টের পূর্বানুমতি ব্যতিত হাজির করার আদেশ দিবেন না।
ধারা-৯৪(২); যাকে দলিল বা বস্তু হাজির করার জন্য আদালত বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশ প্রদান করবেন তিনি নিজে হাজির না হয়ে উক্ত দলিল বা বস্তু হাজির করার ব্যবস্থা গ্রহন করলেই হাজির হয়েছে বলে গন্য হবে।
ধারা-৯৪(৩); এই ধারার বিধান সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ এর ১২৩ ও ১২৪ ধারাকে প্রভাবিত করবে না।
ধারা-৯৫; চিঠি এবং টেলিগ্রাম সম্পর্কিত পদ্ধতি
ধারা-৯৫(১);কোন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট কোন অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার বা প্রসিডিং এর উদ্দেশ্যে কোন দলিল বা পার্সেল প্রয়োজন হলে টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষকে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট হাজির করতে বলবেন।
ধারা-৯৫(২); অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট/জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার এর নিকট এইরূপ কোন দলিল প্রয়োজন হলে আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে ডাক বা তার বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা ও উক্ত দলিল বা পার্সেল বা ব্যক্তিকে আটক করতে পারবেন।
ধারা-৯৬; যখন তল্লাশি পরোয়ানা ইস্যু করা যাবে
ধারা-৯৬(১); যখন কোন আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তির উপর ৯৪ ও ৯৫ ধারা অনুযায়ী সমন জারি করা হয়েছে উক্ত ব্যক্তি সমনে বর্ণিত দলিল বা বস্তু দাখিল করবেন না সেক্ষেত্রে আদালত তল্লাশি পরোয়ানা ইস্যু করবেন এবং উক্ত পরোয়ানাবলে তল্লাশি করবেন।
ধারা-৯৬(২); এখানে বর্ণিত কোন কিছুই জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট)/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ব্যতিত অন্য কোন ম্যাজিষ্ট্রেটকে ডাক বা তা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে অবস্থিত কোন দলিল, পার্সেল এর জন্য পরোয়ানা মজ্ঞুর এর কর্তৃত্ব দিবে না।
ধারা-৯৭; পরোয়ানা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতাঃ
আদালত প্রয়োজন মনে করলে পরোয়ানায় কোন নির্দিষ্ট স্থান বা অংশবিশেষ সুষ্পষ্ট করে উল্লেখ করতে পারে। সেক্ষেত্রে উক্ত স্থান ব্যতিত অন্যস্থানে তল্লাশি করা যাবে না।
ধারা-৯৮; চোরাইমাল, জালদলিল ইত্যাদি রয়েছে বলে সন্দেহ হলে সেই বাড়ি তল্লাশিঃ কোন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর চেরাইমাল জমা রাখা বা বিক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় অথবা জাল দলিল, নকল সীল বা জাল ষ্ট্যাম্প বা মুদ্রা বা নকল করার যন্ত্রপাতি সাজ সরঞ্জাম জমা রাখার স্থান তল্লাশি করার নিমিত্ত্বে পরোয়ানা ইস্যু করতে পারেন। যা কনস্টেবল পদের উপরি কোন পুলিশ অফিসার উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা কবরতে পারেন।
ধারা-৯৯; অধিক্ষেত্রের বাইরে তল্লাশির সময় প্রাপ্ত জিনিস হস্তান্তরঃ যখন পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতের এখতিয়ারের বাইরে কোন স্থানে তল্লশি পরোয়ানা তামিল করতে গিয়ে যে সকল জিনিসের জন্য তল্লাশি করা হয় সেগুলো পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে উহার তালিকা তৈরী করে পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতে দাখিল করতে হবে।
ধারা-৯৯কঃ বাজেয়াপ্ত প্রকাশনা তল্লাশিঃ যখন সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন সংবাদপত্র বা পুস্তক বা দলিলকে রাষ্ট্রবিরোধী কোন বিষয় প্রকাশিত হয়েছে যা আমলযোগ্য অপরাধকে উত্তেজিত করে সেক্ষেত্রে উক্ত প্রকাশনা তল্লাশির নিমিত্ত্বে আদালত পরোয়ানা প্রদান করবেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর পদের নিম্নে নয় এইরূপ পুলিশ অফিসার উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
ধারা-১০০; বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারঃ যখন কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তিকে অপরাধের নিমিত্ত্বে আটক রাখা হয়েছে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধারের নিমিত্ত্বে পরোয়ানা প্রদান করতে পারেন এবং উক্ত পরোয়ানাবলে তল্লাশি করে তাকে উদ্ধার পূর্বক ম্যাজিষ্টেট এর নিকট হাজির করতে হবে।
ধারা-১০১; তল্লাশি পরোয়ানার নির্দেশ ইত্যাদিঃ অত্র আইনের ৪৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮২, ৮৩ ও ৮৪ ধারার বিধান সমূহ যথাসমম্ভব ৯৬, ৯৮, ৯৯ক অথবা ১০০ ধারার অধীন প্রদত্ত তল্লাশি পরোয়ানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ধারা-১০২; আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করতে দিবে।
ধারা-১০২(১); যখন পরিদর্শনযোগ্য কোন স্থান বন্ধ থাকে তখন সেখানে বসবাসকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জারীকারী অফিসারকে তথায় প্রবেশ করতে দিবেন।
ধারা-১০২(২); যদি আবদ্ধ থাকে প্রবেশ করা না যায় সেক্ষেত্রে জারীকারী অফিসার ৪৮ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে অগ্রসর হবেন।
ধারা-১০২(৩); যে বস্তু সম্পর্কে তল্লাশি হওয়া উচিত উক্ত স্থানে বা স্থানের নিকটে থাকা কোন ব্যক্তির নিকট তার দেহে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে যুক্তিসংগতভাবে সন্দেহ করা হয় তাহলে তার দেহ তল্লাশি করা যাবে। এইরূপ ব্যক্তি স্ত্রীলোক হলে অত্র আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
ধারা-১০৩; সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে
ধারা-১০৩(১); তল্লাশিতে অংশগ্রহনের জন্য সাক্ষী উপস্থির জন্য আদেশ।
ধারা-১০৩(২); সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করবেন, জব্দ তালিকা প্রদত্ত এবং উভয়ের স্বাক্ষর।
ধারা-১০৩(৩); প্রয়োজনে বাড়ির মালিককে সাথে নিয়ে তল্লাশি।
ধারা-১০৩(৪); ১০২(৩) মোতাবেক যে মালামাল পাওয়া যাবে তার জব্দ তালিকা এবং মালামাল পাওয়া না গেলে শূণ্য জব্দ তালিকা তৈরী করতে হবে।
ধারা-১০৩(৫); আহব্বানকৃত সাক্ষী হাজির না হলে পেনাল কোডের-১৮৭ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে।
(নোটঃ তল্লাশীর ক্ষেত্রে পুলিশ প্রবিধান-২৮০ বিধি অনুসরন করতে হবে)
ধারা-১০৪; দাখিলকৃত দলিল ইত্যাদি আটক করার ক্ষমতাঃ কোন আদালত উপযুক্ত মনে করলে উক্ত আদালতে পেশকৃত কোন দলিল বা বস্তু আটক রাখতে পারেন।
ধারা-১০৫; ম্যাজিষ্ট্রেট তার উপস্থিতিতে তল্লাশির আদেশ দিবেনঃ নির্বাহী/জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোন স্থানে তার উপস্থিতিতে তল্লাশি করার নির্দেশ দিতে পারেন।
**************ধন্যবাদ**************