ধারা–১০৬; দন্ডিত ব্যক্তির শান্তি রক্ষার মুচলেকাঃ দন্ডিত ব্যক্তির নিকট থেকে দন্ড প্রদানকারী আদালত ০৩(তিন) বৎসরের জন্য শান্তিরক্ষার মুচলেকা গ্রহন করতে পারেন।
(পুলিশ প্রবিধান-৪৪৯ বিধি)
ধারা–১০৭; অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষার মুচলেকাঃ কোন বক্তির মাধ্যমে শান্তিভঙ্গ ঘটতে পারে পারে সেক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত ব্যক্তির নিকট থেকে ০১(এক) বৎসরের জন্য শান্তিরক্ষার মুচলেকা নিতে পারেন।
(পুলিশ প্রবিধান-২৮৭ বিধি)
ধারা–১০৮; রাষ্ট্রদ্রোহীতা মূলক বিষয়ে সদাচরণের মুচলেকাঃ রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বিষয়ে প্রচারকারী ব্যক্তির নিকট থেকে সদাচরণের জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ০১(এক) বছরের জন্য সদাচরণের মুচলেকা নিতে পারেন।
ধারা–১০৯; ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সদাচরণের মুচলেকাঃ ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির নিকট থেকে সদাচরণের জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ০১(এক) বছরের জন্য সদাচরণের মুচলেকা নিতে পারে এবং মুচলেকা কেন সম্পাদন করবে না তার কারণ দর্শাতে বলবেন।
(পুলিশ প্রবিধান-২৮৮ বিধি)
ধারা–১১০;অভ্যাসগত অপরাধীর সদাচরণের মুচলেকাঃ অভ্যাসগত অপরাধী যেমন-চোর, ডাকাত, গৃহভঙ্গকারীর নিকট থেকে সদাচরণের জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ০৩(তিন) বছরের জন্য সদাচরণের মুচলেকা নিতে পারেন এবং মুচলেকা কেন সম্পাদন করবে না তার কারণ দর্শাতে বলবেন।
(পুলিশ প্রবিধান-২৮৯, ২৯০ বিধি)
ধারা–১১২; কারণ দর্শানোর নোটিশঃ অত্র আইনের ১০৭-১১০ ধারার অধীন মুচলেকা নিতে হলে উক্ত ব্যক্তিকে অপরাধের বিবরণ উল্লেখ পূর্বক মুচলেকার পরিমান উল্লেখ করতঃ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন।
ধারা–১১৩;আদালতের উপস্থিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পদ্ধতিঃ যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ দেয়া হয় উক্ত ব্যক্তি যদি আদালতে উপস্থিত থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আদশের বিষয়ে পড়িয়া শুনাতে হবে।
ধারা–১১৪;অনুপস্থিতি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পদ্ধতিঃ যে ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে হাজির করার জন্য আদালত পরোয়ানা প্রদান করবেন।
ধারা–১১৫;সমন/পরোয়ানার সাথে কারণ দর্শানোর নোটিশ সংযুক্তকরণঃ যে ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে হাজির করার জন্য আদালত সমন/পরোয়ানা প্রদানকালে কারণ দর্শানোর নোটিশ সংযুক্ত করবেন।
ধারা–১১৬; ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে মওকুফঃ এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজে আদালতে উপস্থিত না হলেও তার পক্ষে কৌশুলীর মাধ্যমে হাজির হওয়ার অনুমতি প্রদান করতে পারেন।
ধারা–১১৭; খবরের সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান
ধারা-১১৭(১);ম্যাজিষ্ট্রেট খবরের সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করবেন, প্রয়োজনীয় আরো সাক্ষ্য নিবেন।
ধারা-১১৭(২); শান্তিরক্ষার আদেশে জামানত দাবি করা হলে অভিযোগ গঠন নিষ্প্রয়োজন।
ধারা-১১৭(৩);ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজন মনে করলে অভিযুক্তকে আদালতে আটক পূর্বক অনুসন্ধান করবেন। ধারা-১১৭(৪)ঃ অপরাধী বিপদজনক প্রকৃতি হলে জামানতের নির্দেশ।
ধারা-১১৭(৫); দুই বা ততোধিক বক্তি তদন্তাধীন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হলে পৃথক তদন্তের ব্যবস্থা।
ধারা–১১৮;জামানত প্রদানের নির্দেশঃ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক সরেজমিনে অনুসন্ধানের পর যদি অভিযোগের প্রমান পান তাহলে তিনি অভিযুক্তকে জামানত প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।
ধারা–১১৯;অভিযুক্তকে অভিযোগ হতে অব্যাহতিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক সরেজমিনে অনুসন্ধানের পর যদি অভিযোগের প্রমান না পান তাহলে অভিযুক্তকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি প্রদান করবেন।
ধারা–১২০;জামানতের মেয়াদ আরম্ভ
ধারা-১২০(১); দন্ডিত হলে জামানতের মেয়াদের আদেশ দন্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরথেকে কার্যকরী।
ধারা-১২০(২);অন্যান্য ক্ষেত্রে এইরূপ মেয়াদ উক্ত আদেশের তারিখ হতে শুরু হবে।
ধারা-১২১; জামানতের বিষয়ব¯দঃ এইরূপ কোন ব্যক্তি যে মুচলেকা সম্পাদক করবে, তা তাকে শান্তিরক্ষা বা সদাচরণের জন্য বাধ্য রাখবে এবং সদাচরণের ক্ষেত্রে কোন কারাদন্ডযোগ্য অপরাধ করলে মুচলেকা লংঘন করেছে বলে গন্য।
ধারা-১২২; ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জামিনদার বাতিল ক্ষমতাঃ কোন ব্যক্তি মুচলেকার জন্য জামিনদার হওয়ার অযোগ্য মর্মে ম্যজিষ্ট্রেট উক্ত জামিনদারকে বাতিল করতে পারেন।
ধারা-১২৩(১); যাকে জামানত প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তিনি যদি যথাসময়ে জামানত না দেয় সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে আদালতে বিভিন্ন শ্রেণীতে কারাদন্ডের আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১২৩(২); কোন ম্যাজিষ্ট্রেট যখন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে ০১(এক) বছরের অধিককালের জন্য জানানত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয় সেক্ষেত্রে জামানত না দেওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটকের নির্দেশ দিবেন।
ধারা-১২৩(৩); জামানত ব্যর্থতার জন্য ০৩(এক) বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া যাবে না। ধারা-১২৩(৪)ঃ শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে কারাদন্ড হবে বিনাশ্রম।
ধারা-১২৩(৫); ১০৮ ধারার অধীন হবে বিনাশ্রম কিšদ ১০৯ বা ১১০ এর ক্ষেত্রে হবে সশ্রম কারাদন্ড ।
ধারা–১২৪; জামানত প্রদানের ব্যর্থতার কারারুদ্ধ ব্যক্তির মুক্তিদানের ক্ষমতাঃ
ধারা–১২৪(১); জামানত প্রদানের ব্যর্থতায় কারারুদ্ধ ব্যক্তিকে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তি দিতে ক্ষমতাবান।
ধারা-১২৪(২); প্রয়োজনে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জামানতের অর্থের পরিমান হৃস করতেও ক্ষমতাবান।
ধারা-১২৪(৩); প্রয়োজনে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কারারুদ্ধ ব্যক্তিকে শর্তে বা বিনাশর্তে মুক্তি দিতে পারেন। ধারা-১২৪(৪)ঃ যে শর্তে মুক্তি দেয়া হবে তা নির্ধারণ করবেন সরকার।
ধারা–১২৪(৫); শর্ত যথাযথ পালন না করলে মুক্তির আদেশ বাতিল।
ধারা–১২৪(৩); মুক্তির আদেশ বাতিল করা হলে তাকে পুনরায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে।
ধারা–১২৫; শান্তিরক্ষা ও সদারচরণের মুচলেকা বাতিল করার ক্ষমতাঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তার নিজ জেলায় তার অধীনে সম্পদিত শান্তিরক্ষা ও সদারচণের মুচলেকা বাতিল করতে ক্ষমতাবান।
ধারা–১২৬(১); জামিনদারের অব্যাহতিঃ কোন ব্যক্তির শান্তিপূর্ণ আচরণ বা সদাচরনের জন্য জামিনে আবদ্ধ জামিনদার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট/নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট জামিননামা বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
ধারা–১২৬(২); এইরূপ আবেদন দাখিল করলে যে ব্যক্তির জন্য উক্ত জামিনদার আবদ্ধ তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট উপযুক্ত মনে করলে সমন/পরোয়ানা প্রদান করবেন।
ধারা–১২৬কঃ মুচলেকার মেয়াদ অনুত্তীর্ণ সময়ের জন্য জামানতঃ যে ব্যক্তির উপস্থিতির জন্য সমন/পরোয়ানা প্রদান করেছেন উক্ত ব্যক্তি যদি হাজির হয় তাহলে জামিনদারের মুচলেকা বাতিল করে নতুন সময়ের জন্য জামানতের অনুরূপ নতুন জামানত দেওয়ার আদেশ দিবেন।
**********************ধন্যবাদ*****************************