ধারা-২৪, অভিযুক্ত শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের আদালতে উপস্থিতিঃ এই আইনের অধীন শিশু আদালতে হাজিরকৃত শিশুর পিতা-মাতা এবং অবর্তমানে অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিবেন।
ধারা-২৫, শিশু ব্যতিত অন্য সকল ব্যক্তিকে আদালত হতে প্রত্যাহার, শিশু আদালত প্রয়োজন মনে করলে কোন মামলার শুনানীকালে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শিশু ব্যতিত
ধারা-২৬, শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখাঃ শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার বিষয়টি সর্বশেষ পন্থা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা একান্ত প্রয়োজন হলে শিশু আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে আদালত হতে যুক্তিসংঘত দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত কোন প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরনের আদেশ দিবেন।
ধারা-২৭, দোভাষী নিয়োগঃ শিশুর বোধগম্য ভাষায় সাক্ষ্যগ্রহনসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বোধগম্য ভাষায় পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজনে আদালত বিনা খরচে শিশুকে একজন ব্য্যখ্যাকারী প্রদান করার জন্য আদেশ প্রদান করবেন।
ধারা-২৮, শিশু আদালতের কার্যক্রমের গোপনীয়তা-
ধারা-২৮(১), শিশু আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোন শিশুর ছবি বা এমন কোন বর্ননা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক্স মাধ্যমে বা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না, যাতে সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। তথাপিও শিশুর ছবি, বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রদান করা শিশুর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে না সেক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করা যাবে। কিšদ আদালতের অনুমতি ব্যতিত প্রকাশ করা হলে অত্র আইনের ৮১ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে গন্য হবে।
**************ধন্যবাদ*************