ধারা-৪২ জনসাধারণ যখন ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে সাহায্য করিবে।
ধারা-৪২(ক)- অন্য কোন লোককে গ্রেফতার করতে অথবা আসামী পলায়ন প্রতিরোধে
ধারা-৪২(খ)- শান্তিভাঙ্গের আশংকা প্রতিরোধ অথবা শান্তিভঙ্গ দমন করতে অথবা সরকারী সম্পত্তির প্রতি ক্ষতির প্রচেষ্টা প্রতিরোধের ব্যপারে সাহায্য করিবেন।
***নোট- জনসাধরণ যখন উপরোক্ত ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে সাহায্য না করবেন সেক্ষেত্রে উক্ত জনসাধারণ পেনাল কোডের ১৮৭ ধারা মোতাবেক অপরাধী বলে গণ্য হবে।
ধারা-৪৩; পুলিশ অফিসার ব্যতিত পরোয়ারা জারীকারী অন্য ব্যক্তিকে সাহায্যদানঃ
পুলিশ অফিসার ব্যতিত পরোয়ারানা জারীকারী অন্য ব্যক্তিকে পরোয়ানা কার্যকর করিবার নির্দেশ প্রদান করলে উক্ত পরোয়ানা কার্যকর করার ক্ষেত্রে জনসাধারণ উক্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবেন।
ধারা-৪৪: জনসাধারণ কতিপয় অপরাধ সম্পর্কে সংবাদ দিবেনঃ
জনসাধারণ আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ জানতে পারলে নিকটতম পুলিশ অফিসার এবং নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটকে উক্ত অপরাধের সংবাদ দিবেন।
নোট- জনসাধরণ যখন উপরোক্ত ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে সংবাদ না দিবেন সেক্ষেত্রে উক্ত জনসাধারণ পেনাল কোডের ১৭৬ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে।
ধারা-৪৫; গ্রাম প্রধান, হিসাব রক্ষক, জোতদার এবং অপরাপর ব্যক্তিগণ কতিপয় বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বাধ্য;
কোন এলাকার কতিপয় গণ্যমান্য ব্যক্তি যেমন-উক্ত এলাকার গ্রাম প্রধান, হিসাব রক্ষক, জোতদার এবং অপরাপর ব্যক্তিগণ আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ নিকটতম পুলিশ অফিসার এবং নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটকে দিতে বাধ্য থাকবেন।
নোট- উল্লিখিত ব্যক্তিগণ যদি উপরোক্ত ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে সংবাদ না দিবেন সেক্ষেত্রে উক্ত জনসাধারণ পেনাল কোডের ১৭৬ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে।
(টীকা নোট-গ্রাম প্রধান নিয়োগ করেন কে? উত্তর-জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট)
***********ধন্যবাদ***********