ধারা–১; শিরোনাম ও পরিধিঃ
এই আইন পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন ২০১৩ নামে অভিহিত হবে। যা ২০১৩ সালের ৪৯নং আইন হিসেবে পরিগনিত। উক্ত আইন ২৭ অক্টোবর ২০১৩ খ্রিঃ তারিখে প্রকাশিত হয়।
ধারা–২; সংজ্ঞা সমূহঃ
পিতাঃ পিতা অর্থ যিনি সন্তানের জনক।
(পিতা–মাতার ভরণপোষণ আইন–২(ক) ধারাÑ
ভরণ–পোষণঃ অত্র আইনে ভরণ-পোষণ অর্থ খাওয়া-দাওয়া, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বসবাসের সুযোগ সুবিধা এবং সংঘ প্রদানকে বঝুায়।
(পিতা–মাতার ভরণপোষণ আইন–২(খ) ধারা)
মাতাঃ মাতা অর্থ যিনি সন্তানের গর্ভধারিনী।
(পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২(গ) ধারা)
সন্তানঃ সন্তান অর্থ পিতা ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সক্ষম ও সামর্থ্যবান পুরুষ ও কন্যাকে বুঝায়।
(পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২(গ) ধারা)
ধারা–৩; পিতা–মাতার ভরণপোষণঃ
প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে হবে। পিতা মাতার একাধিক সন্তান থাকলে উভয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে হবে। ভরণপোষণ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার বসবাসের স্থান নিশ্চিত করতে হবে। কোন সন্তান তার পিতা মাতাকে আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না। পিতা মাতার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে। পিতা মাতার সাথে সাক্ষাত নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানের থেকে পিতা মাতা আলাদা থাকলে নিয়মিত যুক্তিসংগত পরিমান অর্থ পিতা-মাতাকে প্রদান করতে হবে।
ধারা–৪; পিতা-মাতার অবর্তমানে দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভরণ পোষণ- প্রত্যেক সন্তান তার-পিতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে এবং মাতার অবর্তমানে নানা-নানীকে- উপরোক্ত ৩ধারায় বর্ণিত ভরণ পোষণ প্রদানে বাধ্য থাকবে এবং এই ভরণ পোষণ পিতা-মাতার ভরণপোষণ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ধারা–৫; পিতা–মাতার ভরণ–পোষণ না করার দন্ডঃ
ধারা–৫(১); কোন সন্তান কর্তৃক ৩ ধারার যেকোন উপধারার বিধান কিংবা ৪ ধারার বিধান লঙ্গণ অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য ০১ (এক) লক্ষ টাকা অথর্দন্ডে দন্ডিত হবে। যা অনাদায়ে ০৩মাসের কারাদন্ড হবে।
ধারা-৫(২) কোন সন্তানের স্ত্রী, বা ক্ষেত্রমতে স্বামী কিংবা পুরুষ-কন্যা বা অন্য কোন নিকট আত্মীয় ব্যক্তি-
ক. পিতা-মাতা বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণপোষণ প্রদানে বাধা প্রদান করলে;
খ। পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণ পোষণ প্রদানে অসহযোগিতা করলে তিনি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছে বলে গন্য হবে এবং উল্লিখিত দন্ডে দন্ডিত হবেন।
ধারা–৬; অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা- অত্র আইনের অপরাধ হবে-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য, আপোষযোগ্য।
ধারা–৭; অপরাধ বিচারার্থে গ্রহন ও বিচারঃ
ধারা–৭(১); ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহাই কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্টেট্র বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট্র আদালতে বিচারযোগ্য হবে।
ধারা–৭(২); কোন আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সংশিষ্ট পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ব্যতিত আমলে গ্রহণ করবে না।
ধারা–৮; অপরাধের আপোষ নিষ্পত্তিঃ
ধারা–৮(১); আদালত এই আইনের অধীন প্রাপ্ত অভিযোগের আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষধের চেয়ারম্যান বা মেম্বার, কিংবা ক্ষেত্রেমতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর, কিংবা যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তার নিকট প্রেরণ করবেন।
ধারা–৮(২); উপরোক্ত ধারা অনুসারে কোন অভিযোগ আপোষ নিষ্পত্তির জন্য প্রেরিত হলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান/মেম্বার, মেয়র/কাউন্সিলর অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে এবং এইরূপ নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগ উপযুক্ত আদালত কতর্কৃ নিষ্পত্তিকৃত বলে গন্য হবে।
*************** ধন্যবাদ **************