ধারা-৬৮- সমন
ধারা-৬৮(১)-কোন বাদী/ফরিয়াদি/সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদলতের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহর অংকিত ০২(দুই) কপি আদেশনামাকে সমন বলা হয়।
(পুলিশ প্রবিধান-৪৭১ বিধি)
ধারা-৬৮(২); এইরূপ সমন পুলিশ অফিসার কর্তৃক/আদালতের অফিসার কর্তৃক/কোন সরকারী কর্মচারী কর্তৃক এর আদেশ জারী করা যায়।
ধারা-৬৯; যেভাবে সমন জারী করা যায়
ধারা-৬৯(১); যার প্রতি সমন জারী করা হয় তাকে সমনের এককপি প্রদান করে/সমনের প্রস্তাব দিয়ে সমন জারী।
ধারা-৬৯(২); জারীকৃত কপির অপর কপিতে স্বাক্ষর নিয়ে সমন জারী।
ধারা-৬৯(৩); বাংলাদেশের কোন সমিতিবদ্ধ কোম্পানীর উপর সমন জারী করতে হলে প্রতিষ্ঠানের মালিক/ম্যানেজারের নিকট জারী করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাকযোগে পত্রটি পৌছালেই জারী হয়েছে বলে গন্য হলে।
ধারা-৭০; সাবালকের প্রতি সমন জারীঃ
যার উপর সমন জারী করা হবে, তাকে পাওয়া না গেলে তার পরিবারের একজন সাবালক পুরুষের নিকট সমনের ০১ (এক) কপি প্রদান করে অপর কপিতে স্বাক্ষর নিয়ে জারী করা যায়।
ধারা-৭১; লটকিয়ে সমন জারীঃ
যেক্ষেত্রে ৬৯, ৭০ ধারা মোতাবেক সমন জারী করা না যায় সেক্ষেত্রে তিনি যে স্থানে বসবাস করেন উক্ত বাসস্থানের একটি প্রকাশ্য স্থানে লটকিয়ে এবং সাক্ষীদের সম্মুখে পাঠ করে, উপস্থিতদের মধ্য হতে ০২ (দুই) জন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে সমন জারী করা যায়।
ধারা-৭২; প্রজাতন্ত্রের/সরকারী কর্মচারীর উপর সমনজারীঃ
যে ব্যক্তির উপর সমন জারী করা হবে তিনি যদি সরকারী কর্মচারী হন তাহলে তার ইউনিট প্রধানের বরাবর ডাকযোগে সমনের দুই কপি প্রেরণ করা করতে হবে। ইউনিট প্রধান ০১ (এক) কপি জারী পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে আদালতে প্রেরণ করবেন।
ধারা-৭৩; স্থানীয় সীমানার বাইরে সমনজারীঃ
যখন কোন আদালতে তার এখতিয়ারের বাইরে সমন জারী করতে চায়, সেক্ষেত্র সমনের ০২ (দুই) কপি উক্ত আদালতে প্রেরন করলেই সমন জারী করা হয়েছে বলে গন্য হবে।
ধারা-৭৪; সমন জারীর প্রমানঃ
৬৯ অথবা ৭০ ধারা মোতাবেক যেভাবে সমন জারী করা হয়েছিল, উক্ত সমনজারীর বিষয়ে কোন প্রশ্ন উপস্থাপিত হলে জারীকারক অফিসার প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তাহা প্রমান করবেন।
ধারা-৭৫; গ্রেফতারী পরোয়ানা
ধারা-৭৫(১); কোন আসামীকে আদালতে হাজির করার জন্য আদলতের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহর অংকিত ০১(এক) কপি আদেশনামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বলা হয়।
(পুলিশ প্রবিধান-৩১৫, ৪৬৮ বিধি)
ধারা-৭৫(২); গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী না করতে পারলে প্রতি ১৫ (পনের) দিন অন্তর অন্তর আদালতে অবহিত করতে হবে।
(পুলিশ প্রবিধান-৩২৩ বিধি)
ধারা-৭৬; জামিনযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা
ধারা-৭৬(১); কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য পরোয়ানা প্রদানকালে আদালত বিবেচনামূলক ক্ষমতায় এই আদেশ দিতে পারেন যে, নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার নিমিত্তে মুচলেকা সম্পাদনে সক্ষম হলে মুক্তি দেয়া যাবে।
ধারা-৭৬(২); পরোয়ানায় নিম্ন লিখিত বিষয় উল্লেখ থাকবে
ক। জামিনদারের সংখ্যা;
খ। জামিননামার অর্থের পরিমান;
গ। আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ।
ধারা-৭৬(৩); আলোচ্য ধারামতে জামিন প্রদান করা হলে মুচলেকাটি আদালতে প্রেরণ করতে হবে।
ধারা-৭৭; একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে পরোয়ানাজারীঃ
গ্রেফতারী পরোয়ানা সাধারণত এক বা একাধিক পুলিশ অফিসারের উপর নির্দেশিত হয়। তবে অবিলম্বে কোন পুলিশ অফিসার পাওয়া না গেলে আদালত অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে পরোয়ানা জারী করতে পারে।
ধারা-৭৮; জমির মালিক কর্তৃক পরোয়না জারী
ধারা-৭৮(১); জমির মালিক, কৃষক অথবা জমির ম্যানেজার এর উপর পরোয়ানা জারীর নির্দেশ প্রদান করা যায়।
ধারা-৭৮(২); জমিতে প্রবেশ করলে জমির মালিক উক্ত পরোয়ানা তামিল করতে পারবেন।
ধারা-৭৮(৩); জমির মালিক গ্রেফতার করতঃ নিকটস্থ পুলিশ অফিসারের নিকট নিয়ে যাবেন। পুলিশ অফিসার ৭৬ ধারা মোতাবেক জামিনের ব্যবস্থা থাকলে জামিন দিবেন, না হয় আদালতে প্রেরণ করবেন।
ধারা-৭৯; অধস্তনের মাধ্যমে পরোয়ানাজারীঃ পুলিশ অফিসারের প্রতি নির্দেশিত পরোয়ানা অন্য কোন পুলিশ অফিসারের দ্বারাও তামিল করা যাবে তবে পরোয়ানার উপর হাওলাকারী অফিসারের নাম পৃষ্ঠাস্কন করতে হবে।
ধারা-৮০; পরোয়ানার সারমর্ম অবহিত করণঃ পুলিশ অফিসার পরোয়ানা তামিলকালে প্রয়োজনে পরোয়ানার সারমর্ম জানাবেন এবং পরোয়ানাটি দেখাবেন।
ধারা-৮১; গ্রেফতারকৃতকে অবিলম্বে আদালতে প্রেরণঃ গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকরী করার পর অবিলম্বে (অনাবশ্যক বিলম্ব ছাড়াই) গ্রেফতারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করতে হবে।
ধারা-৮২; পরোয়ানা যেখানে কার্যকর করা যাবেঃ বাংলাদেশের যে কোন জায়গায়/যে কোন স্থানে গিয়ে আলোচ্য পরোয়ানা তামিল করা যাবে।
ধারা-৮৩; অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকর করার জন্য প্রেরিত পরোয়ানাঃ পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতের এখতিয়ারের বাহিরে যদি গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার প্রয়োজন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা জেলা পুলিশ সুপার এর নিকট প্রেরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট/পুলিশ সুপার উক্ত পরোয়ানা তামিলে ব্যবস্থা নিবেন।
ধারা-৮৪; অধিক্ষেত্রের বাইরে পরোয়ানা কার্যকরের পদ্ধতি;
ধারা-৮৪(১); সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট এবং অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করব।
ধারা-৮৪(২); সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট এবং অফিসার ইনচার্জ যথাযথ সাহায্য সহযোগিতা করবেন।
ধারা-৮৪(৩); সময় বিলম্বের ক্ষেত্রে নিজেই স্থানীয় সীমার বাইরে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করব।
ধারা-৮৫; ২০ মাইল দূরে পরোয়ানা কার্যকরের পদ্ধতিঃ স্থানীয় সীমানার বাইরে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার ক্ষেত্রে দূরত্ব যদি ২০ মাইলের অধিক হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট/জেলা সুপারিনটেন্ডেন্ট/মহানগর হলে পুলিশ কমিশনার এর নিকট হাজির করতে হবে।
ধারা-৮৬; গ্রেফতারকৃতকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির করা হলে তখনকার পদ্ধতিঃ গ্রেফতারকৃতকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির করা হলে ম্যাজিষ্ট্রেট অত্র আইনের ৭৬ ধারা মোতাবেক কোন নির্দেশ থাকলে এবং ৪৯৭ ধারার শর্তে জামানত দানে সমর্থ হলে মুক্তি দিতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরোয়ানা ইস্যুকারী আদালতে প্রেরণ করবেন।
ধারা-৮৭; পলাতক ব্যক্তির জন্য হুলিয়া
ধারা-৮৭(১); কোন মামলার পলাতক আসামীকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে কোন নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিনের সময় দিয়ে আদালতের বিচারক কর্তৃক সীলমোহরকৃত ও স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র/ইশতিহার/আদেশপত্রকে হুলিয়া বলে।
(পুলিশ প্রবিধান-৪৭২ বিধি)
ধারা-৮৭(২); কোন মামলার পলাতক আসামীকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে কোন নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য যে ঘোষনাপত্র প্রকাশ করা হয় তা জারীর পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
ক) আসামী যেখানে বসবাস করে সেইখানে প্রকাশ্য স্থানে উহা প্রকাশ্যভাবে পাঠ করে শুনাতে হবে।
খ) আসামী যেখানে বসবাস করে সেইখানে প্রকাশ্য স্থানে উহা লটকাইয়া দিতে হবে।
গ) হুলিয়ার ১ (এক) কপি আদালত ভবনের কোন প্রকাশ্যস্থানে লটকাইয়া দিতে হবে।
ধারা-৮৭(৩); আদলতের নিকট যে দিন হুলিয়া যথাযথভাবে জারী হয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে সে দিন থেকে হুলিয়া প্রকাশিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।
(পুলিশ প্রবিধান-৪৭২ বিধি)
ধারা-৮৮; পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক/ক্রোকি পরোয়ানা- হুলিয়া জারী করার পর আসামী আদালতে যথাযথ সময়ে হাজির না হলে তাকে আদালতে হাজির হতে বাধ্য করার জন্য তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকারী হেফাজতে নেওয়ার নিমিত্তে আদালতের বিচারক কর্তৃক সীলমোহরকৃত ও স্বাক্ষরিত আদেশপত্রকে ক্রোকী পরোয়ানা বলে।
(পুলিশ প্রবিধান-৪৭৪ বিধি)
ধারা-৮৮(১); যেই আদালত হুলিয়া জারি করবেন সেই আদালত অভিযুক্তের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের জন্য ক্রোকী পরোয়ানা ইস্যূ করতে পারেন।
ধারা-৮৮(২); ক্রোকী পরোয়ানার ক্ষমতার বলে আসামীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জেলার ভিতরে এবং বাহিরে থাকলে তা ক্রোক করা যাবে।
ধারা-৮৮(৩); অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নিয়মাবলী-
(ক) আটক করে;
(খ) রিসিভার নিয়োগ করে;
(গ) লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষিত ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি প্রদান নিষিদ্ধ করে;
(ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ধারা-৮৮(৪); স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নিয়মাবলী-
(ক) দখল নিয়ে;
(খ) রিসিভার নিয়োগ করে;
(গ) লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষিত ব্যক্তিকে খাজনা প্রদান বা সম্পত্তি হস্তান্তর নিষেধ করে;
(ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে এইরূপ সকল ব্যবস্থা বা যে কোন দুইটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ধারা-৮৮(৫); যে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হয়েছে তা যদি জীবন্ত প্রাণী হয় বা পচনশীল প্রকৃতির হয়। সেক্ষেত্রে আদালত প্রয়োজন মনে করলে উহা বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারেন এবং বিক্রয়কৃত অর্থ আদালতের আদেশ অনুসারে ব্যবহৃত হবে।
ধারা-৮৮(৬ক); ক্রোকের তারিখ হতে ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে হুলিয়াধীন ব্যক্তি ব্যতিত যদি অন্য কোন ব্যক্তি (নিরপরাধ ব্যক্তি) ক্রোককৃত সম্পত্তি দাবী করে তাহলে উক্ত দাবী/আপত্তি সংক্রান্তে তদন্ত করতে হবে এবং তা সম্পূর্ণ বা আংশিক মেনে নেয়া বা অগ্রাহ্য করা যেতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে, দাবীকারীর মৃত্যুর পর তার আইন সংগত প্রতিনিধি উক্ত দাবী পরিচালনা করবেন।
ধারা-৮৮(৬খ); যে আদালত ক্রোকের আদেশ দিয়েছে সেই আদালতেই দাবী উপস্থাপন করতে হবে।
ধারা-৮৮(৬গ);যে আদালতে দাবী উপস্থাপন করা হয়েছে উক্ত আদলতই তদন্ত করবেন।
ধারা-৮৮(৬ঘ);দাবী বা আপত্তি যদি সম্পূর্ণ বা আংশিক অগ্রাহ্র হয় তাহলে দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য আদেশের তারিখ হতে ০১(এক) বৎসরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে।
ধারা-৮৮(৬ঙ); হুলিয়াধীন ব্যক্তি যদি হুলিয়ায় উল্লিখিত সময়ের মধ্যে হাজির হয় তাহলে আদালত আদেশ দ্বারা সম্পত্তি ক্রোক হতে মুক্ত করে দিবেন।
ধারা-৮৮(৭); হুলিয়াধীন ব্যক্তি যদি হুলিয়ায় উল্লিখিত সময়ের মধ্যে হাজির না হয় তাহলে সম্পত্তি সরকারের হেফাজতভুক্ত হবে এবং উক্ত সম্পত্তি যদি ধ্বংশীল/পচনশীল হয় তাহলে আদালত উপযুক্ত মনে করে তা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করবেন।
ধারা-৮৯; ক্রোকী সম্পত্তি পুনরুদ্ধারঃ যে ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে তিনি ২ (দুই) বছরের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে পূর্বে হাজির না হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ উপস্থাপন করলে ক্রোককৃত সম্পত্তির সকল খরচ কেটে নিয়ে বাকী অর্থ ফেরত প্রদান করতে হবে।
ধারা-৯০; সমনের অতিরিক্ত পরোয়ানাঃ একাধিক বার সমন দেওয়ার পর কোন মামলার বাদী বা সাক্ষী আদালতে হাজির না হলে আদালত তাদের হাজির করার জন্য নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যূ করতে পারে
ক। আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, বাদী বা সাক্ষী পলায়ন করেছে বা সে সমন মান্য করবে না;
খ। সাক্ষী আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হলো কিংবা হাজির না হওয়ার যথোপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করে নাই।
ধারা-৯১; হাজির হওয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়ার ক্ষমতাঃ
আদালতের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক কোন সাক্ষী যদি আদালতে হাজির থাকে তাকে পুনরায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য মুচলেকা সম্পাদনে বাধ্য করতে পারেন।
ধারা-৯২; হাজির হওয়ার মুচলেকা লংঘন করার শাস্তিঃ
যখন কোন ব্যক্তি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য মুচলেকা আবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও হাজির না হয় সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে হাজির করার জন্য পরোয়ানা প্রদান করবেন।
ধারা-৯৩কঃ বাংলাদেশের বাহিরে জারি করার জন্য সমন প্রেরণঃ
বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন সমন বাংলাদেশের বাহিরে জারী করতে হলে দুই প্রস্থ সমনের কপি উক্ত আদালতের প্রিজাইডিং অফিসারের বরাবর ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।
ধারা-৯৩খঃবাংলাদেশের বাইরে জারি করার জন্য পরোয়ানা প্রেরণঃ বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন পরোয়ানা বাংলাদেশের বাইরে জারী করতে হলে দুই প্রস্থ সমনের কপি উক্ত আদালতের প্রিজাইডিং অফিসারের বরাবর ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।
ধারা-৯৩গঃ বাংলাদেশের বাহিরে হতে প্রাপ্ত পরোয়ানা বাংলাদেশে জারী ও কার্যকরীকরণঃ বাংলাদেশের বাইরের কোন আদালত হতে যদি কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার জন্য বাংলাদেশের আদালত প্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আদালত হতে প্রাপ্ত পরোয়ানার ন্যায় উহা জারি/কার্যকরী করবেন।
*****************ধন্যবাদ***************