অধ্যায়-১: ( প্রাথমিক বিষয়)

শিরোনামঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ সালের ৫নংআইন, এই আইন ২২মার্চ প্রকাশিত, যাহা ১লা জুলাই হতে কার্যকরী, মোট ধারা-৫৬৫ টি, মোট অধ্যায়-৪৬ টি, মোট তফসিল ৫ টি, তারমধ্যে-৪টি কার্যকরী তফসিল।

****ফৌঃ কাঃ বিঃ আইন ১৮৯৮ এর ০৪ ধারা- (সঙ্গা সমূহ)

অ্যাডভোকেটঃ ফৌজদারীকার্যবিধিআইনের৪(১)(ক) ধারা মোতাবেক আদালতে আইন ব্যবসা করিতে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন এ্যাডভোকেট এইরূপ কার্যে আদালতের অনুমতি ক্রমে নিযুক্ত অন্য যেকোন ব্যক্তিকে ও অ্যাডভোকেট বলা হয়।

এটর্নী জেনারেলঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(১)(কক) ধারা মোতাবেক আদালতে সরকার এই পদে যে অফিসারকে নিয়োগ করেন সেই অফিসারকে এটর্নিজেনারেল বলা হয়।

জামিনযোগ্য/জামিনঅযোগ্য অপরাধঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(১)(খ) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশে বলবৎ আইন অনুসারে যে অপরাধ করিলে জামিনের ব্যবস্থা আছে তাকে জামিনযোগ্য অপরাধ এবং বাংলাদেশ বলবৎ আইন অনুসারে যে অপরাধ করিলে জামিনের ব্যবস্থা নাই তাকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে।

অভিযোগঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(গ) ধারা মোতাবেক আদালতে উপস্থিত হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা বিচারকের নিকট যেনালিশ করা হয় তাকে অভিযোগ বলে।

আলমযোগ্য অপরাধঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(চ) ধারা মোতাবেক যে অপরাধ করিলে বাংলাদেশে বলবৎ আইন অনুয়াযী বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায় তাকে আলমযোগ্য অপরাধ বলে। (প্রবিধান-২৪৩ বিধি)

নালিশঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(জ) ধারা মোতাবেক আদালতে উপস্থিত হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা বিচারকের নিকট যেঅভিযোগ করা হয় তাকে নালিশ বলে।

অনুসন্ধানঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ট) ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা আদালত কর্তৃক পরিচালিত বিচার ব্যতীত সমস্ত কার্যক্রমকে অনুসন্ধান বলে। (প্রবিধান-২৮০,৬১৩ বিধি)

তদন্তঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ঠ) ধারা মোতাবেক সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহের নিমিত্ত পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হতে ক্ষমতা প্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি (যিনি ম্যাজিষ্ট্রেট নহে) কর্তৃক পরিচালিত সকল কার্যক্রমকে তদন্ত বলে। (প্রবিধান-২৮০,৬১৩ বিধি)

আলম অযোগ্য অপরাধঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ঢ) ধারা মোতাবেক যে অপরাধ করিলে বাংলাদেশে বলবৎ আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায় না তাকে আলমঅযোগ্য অপরাধ বলে। (প্রবিধান-২৫৪, ২৬৮ বিধি)

বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ড) ধারা মোতাবেক আইন সংগত ভাবে শপথ পূর্বক সাক্ষ্য গ্রহন করাকে বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম বলে। (প্রবিধান-২৯ বিধি)

অপরাধঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ণ) ধারা মোতাবেক যে কার্য করলে অথবা না করলে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রহিয়াছে তাকে অপরাধ বলে। (পেনাল কোড-৪০ধারা)

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ত) ধারা মোতাবেক থানার সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার কনস্টেবল পদের উপরে যে অফিসারকে নিযুক্ত করবেন তাকেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলে। (প্রবিধান-২০১,২০৫,২৫৫বিধি।

থানাঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ধ) ধারা মোতাবেক সরকার কর্তৃক বিশেষ ভাবে/সাধারণ ভাবে ঘোষিত কোন স্থান/কেন্দ্র কে থানা বলে।

পাবলিক প্রসিকিউটরঃ ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪(১)(ন) ধারা মোতাবেক অত্র আইনের ৪৯২ ধারা অনুসারে নিযুক্ত যেকোন ব্যক্তি যিনি সরকারের পক্ষে এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা পরিচালনা করে থাকেন তাকে পাবলিক প্রসিকিউটর বলা হয়।

 **********************সমাপ্ত********************